নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার : ফারুকীকে কখনো ঘরের মানুষ মনে করেনি তিশা

অটোবায়োগ্রাফি : ফারুকীকে কখনো ঘরের মানুষ মনে করেনি তিশা
ছবি : ফারুকীকে কখনো ঘরের মানুষ মনে করেনি তিশা

নুসরাত ইমরোজ তিশা খুব ছোট থেকে অভিনয় করছেন। তিশার অভিনয় জীবনটা শুরু হয় বিটিভিতে একসময়ের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান নতুন কুড়ি থেকে। নতুন কুড়িতে নুসরাত ইমরোজ তিশা চ্যাম্পিয়ান হয়, তারপর থেকে আর কখনো পিছনে ফিরে তাকাতে হয়ইনি তাকে।


ছোট পর্দা বড়ো পর্দা দুই মাধ্যমেই পাকাপোক্ত ভাবে তৈরি করেছেন নিজেকে। স্ক্রিন শেয়ার করেছেন দেশের প্রথম শ্রেণীর অভিনেতাদের সঙ্গে। বড়ো পর্দায় সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে ও তিনি স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। তিশার এবারের অভিজ্ঞতা একটু ভিন্ন হলো। প্রথম বারের মতো অভিনয় করলেন স্বামী খ্যাতিমান মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে।


প্রথম বারের মতো স্বামী ফারুকীর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ঠিক কেমন ছিল? এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলো তিশা খুবই সাবলীল এবং সহজ ভাবে উত্তর দেন, তিশা বলেন আমি তাকে একজন অভিনয় শিল্পী হিসাবেই দেখেছি। এটা আমার জন্য খুবই সৌভাগ্যের ব্যাপার আমি ফারুকীর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে পেরেছি। এটা আমার জন্য দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। তিশা আরো বলেন ফারুকীকে আমার একবারও ঘরের মানুষ মনে হয়নি।


আজ মুক্তি পতে যাচ্ছে তিশা-ফারুকীর "সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি"। প্রথম বারের মতো জীবনসঙ্গীর সাথে অভিনয়, নিজের জীবনসঙ্গীর সাথে অভিনয় করার জন্য শুটিংসেটে প্রভাব পড়তে পারে। শট দিতে গিয়ে দুইজনের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া আরো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তিশা বলেন এ ধরনের কোন ঘটনায় ঘটেনি।


সংবাদ মাধ্যমে তিশা জানালেন, ফারুকী একজন পেশাদার অভিনয় শিল্পের মতো ক্যামেরার সামনে কাজ করেছেন। ক্যামেরার সামনে আমি তাকে কখনো জীবনসঙ্গী মনে করিনি। অন্য শিল্পীদের সাথে যে ভাবে কাজ করি ফারুকীর সঙ্গে ও ঠিক একই ভাবে কাজ করেছি। আমার কখনো মনে হয়নি ফারুকী একজন নির্মাতা। আমরা একসঙ্গে দুর্দান্ত একটা কাজ করেছি। আমি মনে করি সবার এই ফিল্মটা দেখা উচিত। শুরু এই ফিল্ম নয়, যে কোন ফিল্মই সকলের দেখা উচিত। মুভি দেখা যেমন বিনোদনের বিষয়, তেমনই একটি মুভিতে অনেক অনেক বিষয় থাকে যা সবার দেখা উচিত। মুভি বানানো হয় দর্শকদের জন্য। তারা না দেখলে দেখবে কারা?


২৮তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয় "সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি"। এই মুভিটা যখন দেখানো হয় তখন তিশা-ফারুকী দম্পতি কোরিয়াতে ছিলেন। এই মুভির দ্বিতীয় প্রদর্শনী হয় মুম্বাইয়ে। তিশা সেই অভিজ্ঞতা বর্ণানা করে বলেন, মুম্বাইয়ের দর্শক এই মুভিটা দেখে যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তা মনে রাখার মতো। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে এটা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ হয়েছে।


ফারুকী খুবই ফুরফুরে মেজাজের মানুষ। সিনেমাটা নিয়ে তার মিশ্র একটা প্রতিক্রিয়া আছে। ফারুকী বলেন, অনেকদিন ধরে ক্যামেরার পিছনে আমি কাজ করছি, কখনো ভাবিনি আমি অভিনয় করব। কিছুটা সংকোচ ভাব তো আছেই। একই সঙ্গে উত্তেজনা ও কাজ করছে। এখন দেখার বিষয় দর্শক কি ভাবে নেয়।


ফারুকী আরো বলেন, নিজের সময়টার সাক্ষী হওয়া ছাড়া আমাদের আর কীই-বা করার আছে। আমরা এখানে সেটাই করার চেষ্টা করেছি।

0 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন