কাঁচামাল সংকটে খাবার স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ যশোর ইউনিটে

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, কাঁচামাল সংকট, খাবার স্যালাইন, উৎপাদন

কাঁচামাল সংকটে খাবার স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ যশোর ইউনিটে। যশোর ইউনিটে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পাশাপাশি ফরিদপুর ও রাজবাড়ীতে খাবার স্যালাই সংকট দেখা দিয়েছে।


সারাদেশে খাবার স্যালাইন উৎপাদনের পাঁচটি ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে যশোর ইউনিট অন্যতম। এই সব ইউনিটের খারাপ স্যালাইন উৎপাদন করা হয় আমদানি করা কাঁচামাল দিয়ে। কাঁচামাল আমদানি না হওয়ার ফলে যশোর ইউনিটে খাবার স্যালাইল উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।


জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট যশোর ইউনিটের ব্যবস্থাপক ডা. শাহনেওয়াজ বণিক এক সংবাদ মাধ্যমে বলেন, এখনো প্রায় ৫ লাখ খাবার স্যালাইন আমাদের কাছে মজুদ রয়েছে। এই ৫ লাখ স্যালাইন দিয়ে আগামী ১ মাস মোটামুটি ভালো ভাবে চালানো যাবে। এর মধ্যে যদি কাঁচামাল আমদানি করা না হয় তাহলে খাবার স্যালাইন উৎপাদন বন্ধু হয়ে যাবে। তবে খুবই দ্রুত সরকার বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করবেন বলে জানা যায়, যদি কাঁচা মাল আমদানি করা না হয় তাহলে কাঁচামাল সংকটে বিনামূল্যে খাবার স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে যশোর ইউনিটে। আশাকরি খুব দ্রুত কাঁচামাল আমদানি হবে, স্বাস্থ্যসেবায় স্যালাইনের কোন প্রভাব পড়বে না।


এরই মধ্যে রংপুর ও বরিশালের দুই ইউনিটে পুরোপুরি উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি ইউনিটে গুলোতেও উৎপাদন বন্ধ হওয়ার সম্ভবনা আছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।


যশোর ইউনিটে প্রতিদিন ১৫ হাজার প্যাকেট স্যালাইন উৎপাদন করা হতো। কাঁচামাল গ্লুকোজ, সোডিয়াম ক্লোরাইড, পাটাসিয়াম ক্লোরাইড ও ট্রাইসোডিয়ামের সংকটের কারণে যশোর ইউনিটে স্যালাই উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে এই এলাকায় খাবার স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। 


খাবার স্যালাইন উৎপাদন ও সরবরাহ প্রতিষ্ঠান যশোরের স্টোরকিপার মো. আওরঙ্গজেব জানান, স্যালাইন তৈরী করতে যে চারটি কাঁচামাল দরকার তার মধ্যে গ্লুকোজ একেবারেই স্টক শূন্য।


উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ গুলোর মধ্যে ডায়রিয়াজনিত রোগ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জায়রিয়ার জন্য এই সব দেশের শিশুদের মৃত্যু হয়। ডায়রিয়া জনিত রোগের কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। এই পানি শূন্যতা পূরনে খাবার স্যালাইন মূখ্য ভূমিকা রাখে। এই জন্য দেশের বিভিন্ন সরকারি হসপিটাল থেকে বিনামূল্যে খাবার স্যালাইন দেওয়া হতো ডায়রিয়া জনিত রুগীদের।


এক মাসের জন্য স্যালাইন মজুত থাকলেও স্যালাইনের চাহিদা বেশি হলে উৎপাদন বন্ধ থাকায় স্যালাইনের ঘাটতি দেখা দিবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক। স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পর্যান্ত স্যালাইন মজুত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


১৯৮২ সালে স্থাপিত যশোরের এই কারখানায় বছরে ৩৬ লাখ ৬০ হাজার প্যাকেট স্যালাইন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৩৫ লাখ ৯৬ হাজার প্যাকেট স্যালাইন উৎপাদন করেছে।

0 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন