১৫ বছর পর অভিনয়শিল্পী নুসরাত ইমরোজ তিশার কন্ঠে গান

After 15 years, the singer Nusrat Imroz Tishara's voice

একবিংশ শতাব্দীর শোবিজে যে কয়েকজন অভিনেত্রী ছোট পর্দা-বড়ো পর্দায় নিজেকে ছাপিয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অভিনেত্রী হিসেই তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন মিডিয়া জগতে।


ছোটবেলা থেকে গান করতেন তিশা। গানে বেশ ভালো স্বীকৃত ও ছিল তিশার। ১৯৯৫ সালে বিটিভিতে প্রচারিত প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে গোল্ডকাপ জিতে নেন তিশা। তিশা ছোট বেলা থেকে খুব ভালো গান করলেও, পরবর্তীতে গানের চর্চা খুব একটা করেননি। নুসরাত ইমরোজ তিশা অভিনয়ে নিয়মিত ছিলেন। তিশা কে ১৫ বছর আগে গান করতে দেখা গেছে। তিনি গানকে পাশ কাটিয়ে অভিনয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ছোট পর্দায় অভিনয় করে তিনি পেয়েছিলেন আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা। ছোট পর্দার পাশাপাশি তিনি নিজের নাম লিখিয়েছিলেন বড়ো পর্দায়,সেখানে ও পেয়েছিলেন তুমুল সাফল্য। কাজের সৃকৃতি হিসাবে নুসরাত ইমরোজ তিশা পেয়েছেন অনেক পুরস্কার ও।


সম্প্রতি তিশাকে দেখা গেছে 'সামথিং অ্যান অটোবায়োগ্রাফি' চলচ্চিত্রে। এই চলচ্চিত্রটি দেখা যাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি-তে। এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। গল্প-চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন ফারুকী ও তিশা মিলে। এই সিনেমাটি তাদের জীবনের কাহিনী নিয়েই নির্মাণ করা হয়েছে।


১৫ বছর পরে 'অটোবায়োগ্রাফি' শিরোনামে গানের কন্ঠ দিয়েছেন তিশা। গানটি লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ এবং সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন পাভেল আরিন।


গানের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিশা বলেন, গান গাওয়ার জন্য তেমন কোন পরিকল্পনা ছিল না। অপরিকল্পিতভাবে গানটি গেয়েছি। গানটা যখন লেখা হয়, সুর করা হয়, তারপর গানটা শুনেই মনে হয়েছে এটা আমার গাওয়া উচিত। গানটি আমি গাইতে চাই। অনেক বছর পরে গানটা শুনে মনে হয়েছে এটা আমারই গান। আমি তখনোও জানতাম না গানটা গাইতে পারবো কিনা। আমার গলায় মানাবে কি-না। এর পর ফারুকী শুনেই বললো গানটা তুমি গেয়ে দেখো। তাছাড়া সিনেমার যে উদ্দেশ্য, যে আবেগ, সিনেমাটা তো বায়োপিক, আমাদের জীবনের কিছু অংশ। গানটার মধ্যে আমাদের জীবনের অংশ যেহেতু আছে তাই গানটা আমাই গাওয়া উচিত।


তিশা বললেন, গানটা শুনে যতটা সহজ মনে হয় গানটি গাওয়ার সময় অনেক কঠিন মনে হয়েছে। নাটক-সিনেমার জন্য মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়াতে ভয় না করলেও গান গাওয়ার জন্য তিশার মাইক্রোফোনের সামনে দাড়াতে বেশ ভয় করেছিল। তিশা বলেন, পাভেলকে অনেকদিন ধরেই বলছিলাম, একটা গান গাইতে চাই। অবশেষে, অনেক বছর পর মনের ইচ্ছে পুরোন হলো।


তিশা আরো বলেন, অনেক বছর পর গান গাইলাম, এখন দর্শক কি বলে সেটা শোনার অপেক্ষায় আছি। আমার কাছের মানুষ তো ভালো বলবেই। দর্শক যদি আমার গান পছন্দ করে তাহলে মনে হবে আমার পরিশ্রম বৃথা যায়নি।

0 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন