সরকারি চাকরিজীবী এক যুবককে অপহরণ করে জোরপূর্বক ভাবে নিজ কন্যার সাথে বিয়ে দিলেন বাবা

সরকারি চাকরিজীবী এক যুবককে অপহরণ করে জোরপূর্বক ভাবে নিজ কন্যার সাথে বিয়ে দিলেন বাবা

সদ্য চাকরিতে যোগদান করা ২৩ বছরের এক যুবককে অপহরণ করে জোরপূর্বক ভাবে নিজ কন্যার সাথে বিয়ে দেন এক বাবা। ঘটনাটি ঘটেছিল ভারতের বিহারে। ভারতীয় এক গণমাধ্যম থেকে জানা যায় গত বুধবার (২৯/১১/২০২৩) এই ঘটনাটি ঘটে।


সম্প্রতি চাকরির পরীক্ষার উত্তির্ন হয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলেন গৌতম কুমার। গত বুধবার (২৯/১১/২০২৩) স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেলেন গৌতম কুমার। হঠাৎ করে কয়েকজন ব্যাক্তি জোরপূর্বক ক্লাসরুমে প্রবেশ করে গৌতম কুমারকে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপহরণকারীর এক মেয়ের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয় গৌতম কুমারের।


জানা যায়, প্রানের ভয়ে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিল গৌতম। গৌতমের দিকে বন্দুক তাক করে অপহরণকারী রাজেশের মেয়ে চাঁদনির সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ে করতেই হবে এমনটাই বলা হয়েছিল নইলে গৌতমকে প্রাণে মারা হতো।


গৌতমকে অপহরণ করার পর ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্থানীয় থানায় খবর দেয়। গৌতমের পরিবার দীর্ঘদিন খোঁজ খবর দেওয়ার পর অবশেষে পুলিশের সাহায্য গৌতমের ফোন ট্রাক করে খোঁজ মেলে। পুলিশ যতক্ষণে গৌতমের খোঁজ পায় ততক্ষণে গৌতমের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।


বিহারে অবিহিত চাকরিজীবীদের অপহরণের ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও অনেকবার এই ধরনের ঘটনা বিহারে ঘটেছে। সরকারি চাকরিজীবী যুবকদের অনেক ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়। বিবাহিত উপযুক্ত দরিদ্র কন্যার পিতা জোর করে চাকরিজীবী যুবকদের অপহরণ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নিজ কন্যার সাথে বিয়ে দেয়।


বিহারে হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েদের অর্থের অভাবে পাত্রস্থ করতে না পারায় চাকরিজীবী যুবকদের জোরপূর্বক তুলে এনে বিয়ে দেওয়া হয়। এই ধরনের বিয়ে কমছে না, বরং দিনদিন বাড়ছে। স্থানীয় ভাষায় এই ধরনের বিয়েকে বলা হয় পাকড়ুয়া বিয়া বা শাদি।


২০১৮ সালে সনু নামের এক যুবক অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। রেলস্টেশনে তাকে অপহরণ করে সোজা মণ্ডপে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। সাধারণ অপহরণকারীদের কাছ থেকে চাঁদা চাওয়া নেওয়া হয় কিন্তু বিহারের অপহরণের চিত্র ভিন্ন।


এছাড়া গতবছর এক পশু চিকিৎসককে অসুস্থ প্রাণীর চিকিৎসার জন্য ডেকে জোরপূর্বক এক মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়।


বিহারে এই ধরনের জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার মূল কারণ অশিক্ষা, বেকারত্ব, দুর্ণীতি, অভাবে জর্জারিত পারিবারিক সমস্যা ইত্যাদি। তার উপর জাতিভেদপ্রথা পণপ্রথা তো আছেই।

0 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন