কানাডার চিঠি : সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের 8জন মাননীয় সংসদ সদস্য (এমপি)।

Prime Minister Sheikh Hasina's letter from Canada

'আমরা কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সরকার প্রধানকে আহ্বান জানাই' ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আসন্ন নির্বাচনটি যেনো অংশমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়। আমরা জানি বাংলাদেশে কোটি কোটি ভোটার রয়েছে 'তারা দেশ পরিচালনার জন্য যথেষ্ট জ্ঞানী'। আমাদের পক্ষ হতে অনুরোধ তাদের সবার পছন্দের রাজনৈতিক দলগুলি বেছে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিবেন। আমরা গভীর ভাবে প্রত্যাশা করি যে, বাংলাদেশের সরকার আমাদের বক্তব্যকে মূল্যায়ন করবে।


চিঠিতে উল্লেখ করে কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্যরা বেশকিছু প্রত্যাশার কথা লিখেন:


আমরা আশা করি বাংলাদেশ সরকার প্রধান জনগণের মত প্রকাশের জন্য স্বাধীনতা রক্ষা করবে এবং ভিন্নমত অবলম্বনকারীর মতামতকে বিশেষ ভাবে সম্মান করবে।


ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, ভোট কারচুপি কিংবা ব্যালট বাক্স ভরাটের মতো অনিয়ম বা জালিয়াতি যাতে না ঘটতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম আশা করি।


আমরা আশা করি, সরকার সহিংসতা প্রতিরোধে সকল রাজনৈতিক দল-মত নির্বিশেষে বাংলাদেশের নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।


আমরা আশা করি, সরকার সকল যোগ্য রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচনে অংশ নিতে সক্রিয় করবে এবং বাংলাদেশের সকল মানুষকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করবে।


চিঠিতে উল্লেখ করে বলা হয়, একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের অংশগ্রহণ যা নাগরিকদের পছন্দ ও ন্যায্য প্রতিনিধিত্বের ওপর বিকাশ লাভ করে। দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে অবাধ অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া পক্ষপাতহীনভাবে পরিচালিত করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত হতে পারে। প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র দেশের নাগরিক সর্বদা শ্রদ্ধা করে। এটি শুধু জাতির গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করবে তা না বরং এটি সারাবিশ্বের জন্য অনুপ্রেরণা এবং দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।


চিঠিতে আরও বলা হয়, কানাডা এবং  বাংলাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি জনশক্তি এবং পণ্য বিনিময় ভবিষ্যতে আরও দ্বিগুণ হবে। আর এটা শুধুমাত্র দুই দেশের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকারের মাধ্যমেই সম্ভব। আসন্ন ২০২৪ নির্বাচনকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলকে স্বচ্ছভাবে সম্পৃক্ত করার জন্য আমরা বিশেষ ভাবে আহ্বান জানাই। এবং নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য আমরা আপনাদের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের বিকাশ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

0 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন