কম্পিউটার ক্ষতি থেকে কীভাবে আপনার চোখ রক্ষা করবেন, জেনে নিন সহজ পদক্ষেপ

কম্পিউটার ক্ষতি থেকে কীভাবে আপনার চোখ রক্ষা করবেন

কম্পিউটার ক্ষতি হতে কীভাবে আপনার চোখ রক্ষা করবেন?

কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় কীভাবে চোখের ক্ষতি এড়াবেন তা জানতে বিস্তারিত পড়ুন।

আমাদের কাজ, পড়াশুনা বা অন্য কোনো কাজের জন্য সারাদিন পিসির সামনে থাকতে হয়, এতে কিছুটা বিরক্ত অনুভব হয়। কেনো'না একটানা কম্পিউটারে কাজ করলে চোখে ক্লান্তি আসে যেমন: ঝাপসা দৃষ্টি, মাথাব্যথার অনুভূতি ইত্যাদি। এই সমস্ত লক্ষণগুলি কে কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোম বলে

কম্পিউটার চোখের জন্য কতটা ক্ষতিকর? সারাক্ষণ কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকেন? কম্পিউটার ব্যবহারে চোখের শুষ্কতা এড়াতে করণীয়!

সারাক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করলে যেসব লক্ষন দেখা দিতে পারে

বর্তমান বাংলাদেশে ৪৫% এরও বেশি মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার করে। তার মানে বিশ্বব্যাপী, মানুষের সংখ্যা যথেষ্ট। অনেকখন ধরে কম্পিউটার ব্যবহার করলে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না প্রকৃতপক্ষে, পিসি স্ক্রিনের সামনে মাত্র দুই ঘন্টা উপস্থিতির সাথে একজন ব্যক্তি তার চোখের ক্ষতি অনুভব করতে পারে।

কম্পিউটারে চোখের ক্ষতি? কম্পিউটারে চোখের ক্ষতি হয়!

হয়তো অনেকেই মনে করেন এতো সময় ধরে কেউই কম্পিউটারের সামনে এতক্ষণ থাকতে পারে না, তবে কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময় এই সময়কালটি সত্যিই অবিশ্বাস্যভাবে চলে যায়। যা আমরা কখনো কল্পনায় করিনা আর এতে আমাদের চোখের কতটা ক্ষতি হয়।


কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় কীভাবে চোখের ক্ষতি রক্ষা করবেন?

পিসি বা অন্যান্য উজ্জ্বল ডিভাইসের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের ক্ষতির পাশাপাশি অস্বস্তি, মাথাব্যথা সহ নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। চোখের ক্ষতি এবং অস্বস্তি কমানোর জন্য বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে।

কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করলে আপনি আপনার চোখের ক্ষতি রক্ষা করতে পারেন। সারাদিন কম্পিউটার ব্যবহার করেন, জেনে নিন কীভাবে চোখের ক্ষতি রক্ষা করবেন।

পাঠ্যের লিখা বড়ো করুন

অনেক সময় আমরা ছোট ছোট পাঠ্যের লিখাগুলো পড়তে গিয়ে আমাদের মুখকে কম্পিউটার স্ক্রিনের কাছাকাছি নিয়ে আসতে হয়। এজন্য শরীর অংশ মাথা কিংবা কাধ বাকা করতে হয় আর এতে ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা বাড়ে। আমরা যখন ছোট লিখা পাঠ্য করি তখন অনেক সময় ভুল হয়, তাছাড়া ছোট লিখা আমাদের চোখের ক্ষতি করে। স্ক্রিনের লেখা বড়ো করলে দূর থেকে পাঠ্য সহজ হয় কারন, স্ক্রিনের কাছাকাছি জেতে হয়না, এতে চোখের ক্ষতি এবং ক্লান্তি এড়ানো যায়। এছাড়াও রঙের দৃশ্য বাড়ানো যেতে পারে, স্ক্রিনের আলো যথা ব্রাইটনেস হালকা বাড়িয়ে দিলে পাঠ্য বিষয়বস্তু আরও সহজে এবং আরামদায়কভাবে পড়া যায়।

পলক

আমার যখন স্ক্রিনের দিকে তাকাই তখন চোখের পলক ফেলতে ভুলে যাই, যার ফলে আমাদের চোখ শুকিয়ে যায়। যা আমাদের চোখের জন্য অতন্ত্য ক্ষতিকর। যদিও এটি মনে রাখা কঠিন, তবুও কিছুক্ষণ পর পর চোখের পলক ফেলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বারবার চোখের পলক ফেলতে যদি কষ্ট হয় কিংবা মনে না থেকে সেক্ষেত্রে চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন। এতে করে চোখ শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবেন এবং চোখের ক্ষতি রক্ষা করতে পারেন। 

উজ্জ্বলতা

স্ক্রিনের তীব্র উজ্জ্বলতা চোখে চাপ তৈরি করে এতে চোখে টানটান অনুভব হয়। স্ক্রিনের তীব্র উজ্জ্বলতা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। স্ক্রিনের ক্ষতিকর আলোর প্রভাব এড়াতে মনিটরের উজ্জ্বলতা সামঞ্জস্য করার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তাছাড়া চোখের ক্ষতি রক্ষা করার জন্য বিশেষ সতর্কতা হিসেবে অ্যান্টি-রিফ্লেক্টিভ ফিল্ম ব্যবহার করার উত্তম। 


চোখ রক্ষায় ২০-১০-৬ নিয়ম

এর অর্থ হল ২০ মিনিট কাজের পর, আপনাকে ১০ সেকেন্ডের জন্য বিরতি নিতে হবে এবং ৬ মিটার দূরের কিছু দেখতে হবে। এই নিয়মের মূল কারণ হল দীর্ঘ সময় একদিকে নজর থাকায় আমাদের চোখের পেশীগুলি তাদের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এমন্ত অবস্থায় যদি হঠাৎ করে অন্যদিকে চোখের দৃষ্টি ফেলি তবে আমাদের চোখ অন্ধকার ঝিঝি পোকার মতো অনুভব করে। চোখের অন্ধকার দূর করতে ২০-১০-৬ নিয়ম টি বিশেষ ভুমিকা পালন করে। নিয়মটা ফলো করার মাধ্যমে আমাদের চোখের পেশী চারপাশে চলাফেরা করতে পারে তাছাড়াও বিভিন্ন বস্তুর উপর হঠাৎ ফোকাস ও করতে পারে।

কম্পিউটার মনিটর থেকে চোখের ক্ষতি রোধের উপায়

চোখের ক্ষতি এড়াতে পিসি স্ক্রিনের থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করুন, মনিটর পাঠ্যের লিখা বড়ো করুন, বারবার চোখের পলক ফেলুন, চোখের ক্ষতি রোধের আলো এবং উজ্জ্বলতার সমন্বয় করুন, এতে চোখের ক্ষতি রক্ষা করা সহজ হবে।

0 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন