যে ৫টি উপাদান মুখে মাখবেন না | 5 things you should never put on your face

আপনার ত্বকে ৫টি উপাদান ব্যবহার করবেন না, যে ৫ টি জিনিস ভুলেও মুখে ব্যবহার করবেন না

ত্বক ফর্সা করার জন্য ভুলেও যে ৫টি উপাদান মুখে মাখবেন না.!


ত্বকের যত্নে আমরা অনেকই অনেক সময় ভুল উপাদান ভুল জায়গায় ব্যবহার করে ফেলি, ফলে আমাদের ত্বকে নানাবিধ পার্শপ্রতিক্রিয়া তৈরি হয় যা আমরা মোটেও আশা করিনা। এখানে ত্বকের যত্নে ৫টি উপাদান রয়েছে যা ব্যবহার করলে আপনি নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। নিচে ৫টি উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হলো:


ত্বকে যে ৫টি উপাদান ব্যবহার করবেন না!



১. ভ্যাসলিন


আপনার মুখে যদি ব্রন থাকে, তবে কখনোই ভ্যাসলিন ব্যবহার করবেন না।


২. বডিলোশন


বডিলোশন তৈরি করা হয়েছে শরীরের জন্য, মুখের জন্য না। অনেকেই আছেন, যারা গোসলের পর সারা শরীরে বডি লোশন মাখেন আবার কিছুটা লোশন আলতো হাতের তালুতে নিয়ে মুখেও মেখে দিচ্ছেন। মনে রাখবেন, শরীরের ত্বক মুখের ত্বকের তুলনায় অনেকটা বেশি পূড়ো হয়। আর বডি লোশনকে সেই পূড়ো ত্বক অনুযায়ী তৈরি করা হয়। যদি এভাবে বডি লোশন প্রতিদিন মুখে ব্যবহার করে ফেলেন তবে কিছুদিন পর এর একটা পার্শপ্রতিক্রিয়া তৈরি হবে, যার ফলে আপনার মুখে স্থায়ীত্ব ইনফেকশন তৈরি করতে পারে। যা মোটেও আপনার ত্বকের জন্য ভালো হবেনা। এজন্য বডি লোশন ব্যবহার করারা ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং মুখে লাগানো থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।


৩. গরম পানি


শীতকালে গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ক্যালোরি লস হয়, তবে হার্ট ভালো থাকে, পাশাপাশি ব্লাডপেসার নিয়ন্ত্রণে অনেক কার্যকর ভুমিকা পালন করে গরম পানি।

 

তবে, মনে রাখবেন এই গরম পানি খুব বেশি যেনো মুখে ব্যবহার না করেন, কারন আমাদের মুখের ত্বক অন্য সব আলাদা যায়গার ত্বক হতে অনেক বেশি সেনসিটিভ হয় এজন্য মুখের ত্বকে খুব হালকা মাত্রায় গরম পানি ব্যবহার করলেও বেশি গরম পানি কোনো ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। এতে আপনার মুখের সৌন্দর্য কিংবা ত্বকের কার্যকরীতা অনেক আংশেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।


৪. টুথপেষ্ট


অনেকেই ব্রণ শুকিয়ে ফেলার জন্য টুথপেষ্ট ব্যবহার করে থাকেন। তবে এই কাজ আর কখনোই করতে যাবেন না। 


টুথপেষ্ট পদ্ধতি ব্যবহার করলে যা হয়:

কিছু ক্ষেত্রে ব্রণের ওপর টুথপেষ্ট ব্যবহার করলে ব্রণ টা সাময়িক সময়ের জন্য হয়তো দূর হয়ে যায়। তবে ব্রণ দুর করার জন্য এই পদ্ধতি ছেড়ে অন্য সব আলাদা পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করুন। 


কেনোনা ব্রণ দূর করার জন্য টুথপেষ্ট পদ্ধতি হয়তো আপনাকে তড়িঘড়ি সাহায্য করতে পারে তবে এর ফলাফল আপনার ত্বকের জন্য মোটেও ভালো হবেনা। কারন আপনার ব্রণ হয়তো চলে যাবে কিন্তু ব্রণের জায়গায় একটি স্থায়ী দাগ জটিল সমস্যায় পরিনত করবে। উদাহরণ সরুপ ক্যামিকেল বার্ন এর মতো হয়তো অতিরিক্ত প্রখর এসিডে আপনার ত্বকে পুড়ে দাগ বসে যেতে পারে। এই পুড়ে যাওয়া ত্বকের দাগ পরবর্তী সময়ে আর কখনোই রিকোভার করতে পারবে না আপনার সাধারণ ত্বক।


৪. বেকিং সোডা


আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ভাবেন বেকিং সোডা ব্যবহারে ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর হয়ে যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন বেকিং সোডা ব্যবহারে ত্বকের বিশেষ ক্ষতি হয়। বেকিং সোডা ব্যবহারের ত্বকের কার্যকরীতা ও আদ্রতা নষ্ট করে হয়। বিশেষ করে শীতকালে কেউ মুখে বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন না।


৫. ফর্সা হওয়ার ক্রিম


অনেকে রং ফর্সা করার বিজ্ঞাপন দেখেই নিম্ন মানের ক্রিম কিনে দিনের পর দিন ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এতে আসলে কতোটুকু লাভ হয়? তা কি একটা বারও ভেবে দেখেছেন! য়তো কিছুটা পরিবর্তন আপনার নজরে পরে কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এইসব বিজ্ঞাপনের উজ্জ্বল কিংবা ফর্সা হওয়ার ক্রিম আপনার টাকা জ্বলে ফেলে। তাই এই সকল ক্রিম ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। 


ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় 


ব্রণ দূর করার জন্য আপনি ঘরোয়া কিংবা প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করতে পারেন। সাধারণ ভাবে ব্রণ দূর করার জন্য রসুন ব্যবহার করতে পারেন। এক দুই কোয়া রসুন নিয়ে দুই টুকরো করে কেটে নিয়ে তা ব্রণের জায়গায় লাগাতে পারেন, এতে ব্রণ দূর হয়। এছাড়াও ব্রণের জায়গায় লাগাতে পারেন লেবুর রস, গ্রীন ট্রি, কিংবা শসা। এই সকল ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপাদান গুলি ব্রণ নিবারনে নিরাপদ। যা কোনো প্রকার ইনফেকশন কিংবা ত্বকের ক্ষতি ছাড়াই আপনার মুখের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে।


ত্বকের যত্নে সেরা ঘরোয়া পদ্ধতি


আপনার ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন ত্বকের যত্নের মধ্যে অন্যতম এবং শ্রেষ্ঠ উপায় হলো "ঘরোয়া পদ্ধতি"।


ত্বকের যত্নে টমেটো


ত্বকের যত্ন নিতে টমেটো ব্যবহার করতে পারেন, এটি ঘরোয়া উপায় গুলির মধ্যে অন্যতম। এক থেকে দুইটা টমেটো ব্লেন্ড করে তারপর ১ থেকে ২ চা চামচ লেবুর রস তাতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা ত্বকে ব্যবহার করতে পারন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি ব্রণ দূর এবং দাগ নিরাময়ে সাহায্য করবে।


ত্বকের যত্নে এলোবেরা জেল ব্যবহার করুন


ত্বকের যত্নে এলোবেরা জেল ব্যবহার ব্যবহার করতে পারেন। এটি ঘরোয়া পদ্ধতি গুলোর একটি অন্যতম উপায়। ১৫ থেকে ৩০ মিনিট এলোবেরা জেল মুখে লাগিয়ে রাখুন পরে তা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।


ত্বকের যত্নে মধু ব্যবহার করুন


ত্বকের যত্নে মধু ব্যবহার করতে পারেন এটি উজ্জ্বল এবং ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। মধু এবং দই একসাথে মিশিয়ে মুখের উপরে লাগাতে পারেন এতে আপনার মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি দাগ এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের যত্নে মধু এবং দই বেশ কার্যকরী ফলাফল প্রদান করে।



এছাড়া ত্বকের যত্নে আরো অনেক ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা আপনার ত্বকে স্থায়ী প্রতিনিধি করে। যেমন, ডিমের ফেইসপ্যাক, আমের খোসা, দুধ, লেবুর রস, চিনি সহ আরও বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে নিজের ত্বকের পরিক্ষা করে নিতে পারেন। আপনার ত্বকে কোন জন্য কোন উপাদানটা সবচেয়ে ভালো মানায় কিংবা সবচেয়ে ভালো কাজ করে।


ত্বকের যত্নে শর্টকার্ট পদ্ধতি


এছাড়াও ত্বকের যত্ন নিতে আপনি আরও সহজ এবং শর্টকার্ট পদ্ধতি গুলি ব্যবহার করতে পারেন।

যেমন: গোলাপজল, দুধ, কলা, ডাবের পানি ইত্যাদি। কিন্তু মনে রাখবেন, যতটুকু সম্ভব হয় বাজারের কেমিকেল যাতব্য পন্য তথা ক্রিম, লোশন কিংবা তেল ব্যবহার করা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।


কারন এগুলো হয়তো আপনার ত্বকের জন্য তড়িঘড়ি কাজ করে আপনাকে লাবন্য ত্বক ফিরে পেতে কিংবা সৌন্দর্য্যে অধিকারী হতে সহায়তা করবে, কিন্তু কিছুদিন পরে এর কেমিকেলের প্রভাব আপনার ত্বকের প্রভাব এবং কার্যকরীতা একি বারে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই বাজারের পন্য ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন, এতে আপনার জন্যই ভালো হবে।

0 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন