সততার পরিচয় দিলেন বাংলাদেশের ফরহাদ
সততার পরিচয় দিলেন বাংলাদেশের ফরহাদ হোসাইন। সততা মানুষের মহৎ এবং এক অমুল্য পবিত্র গুন, সততা আছে বলেই পৃথিবী এতো সরল।
কুড়িয়ে পাওয়া ২লাখ ৫০হাজার টাকা ফেরত দিলেন ফরহাদ হোসাইন।
ফরহাদ হোসাইন ১২০০০হাজার টাকা বেতনে একটি ছোট্ট চাকরি করেন আনোয়ার ইস্পাত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। মাত্র ১২০০০হাজার টাকা বেতনে তার সংসার চলে অনেকটা টেনে টুনে। পরিবারের চাহিদা মেটাতেই হিমসিম অবস্তা তবুও লোভের কাছে মাথা নত করেননি ফরহাদ হোসাইন।
মঙ্গলবার দিন দুপুরের খাবার খেতে বাসায় যাওয়ার পথে ফরহাদ হোসাইন গাজীপুর কুনিয়া পাড়া এলাকায় একটি ব্যাগ কুড়িয়ে পান। তিনি ব্যাগটি খুলে দেখেন ভিতরে অনেক টাকা। আসেপাশে অনেক খোজাখুজি করেও দেখা মিলেনি টাকা ওয়ালা ব্যাগ মালিকের। তিনি ব্যাগটি নিয়ে ফিরে আসেন কর্মস্থলে।
ফরহাদ চিন্তা করছিলো টাকা গুলো কিভাবে ফেরত দেয়া যায়। তিনি কর্মস্থলে এসে টাকার ব্যাগটি অফিস রুমে জমা দিয়ে কাংখিত ঘটনা খুলে বলে।
ব্যাগের মধ্যে ছিলো একটি ব্যাংক স্লিপ আর সেই স্লিপে থাকা মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে কাংখিত টাকার আসল মালিকের সন্ধান মিলে।
সমস্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে ফিরিয়ে দেওয়া হয় টাকা। নাজমুল টাকার ব্যাগ হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েছিলেন, কিন্তু এখন টাকার ব্যাগটি হাতে পেয়ে সে অনেক খুশী, টাকা ফিরিয়ে দেওয়া ফরহাদের প্রতি অবেগে উতফুলিত হয় নাজমুল সাহেব।
ফরহাদ হোসাইন এর এমন সততা দেখে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তারা মুগ্ধ হয়ে পড়ে, তার মতো
এমন একজন সততা বান ব্যক্তি পেয়ে অনেক খুশি আনোয়ার ইস্পাত প্রতিষ্ঠান। ফরহাদের এমন সততা দেখে তার চাকরি পারমানেন্ট করার সিদ্ধান্ত নেই অফিস কর্তৃপক্ষ এবং তার সততার জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে একটি বিশেষ চারিত্রিক সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। প্রায় ১বছর ৬ মাস যাবত মাত্র বারো হাজার টাকা বেতনে অস্থায়ী ভাবে স্কেল অপারেটর হিসেবে চাকরি করছিলেন ফরহাদ হোসাইন।
যেই দেশে এতো এতো দুর্নীতি, সেই দেশেই মিললো সোনার হরিন। তার সততা থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরি। বলা যায় না একদিন হয়তো আপনার টাকাও এমন ভাবে হারিয়ে যেতে পারে, কিন্তু সেদিন যদি আপনি টাকা ফিরে না পান তবে আপনার কি অবস্থা হতে পারে একটু চিন্তা করে দেখবেন। টাকা মানুষের জরুরি সম্পদ, আপনার ব্যাগটা যদি হারিয়ে যায়, আর হাসপাতালে যদি কেউ আপনার অপেক্ষায় থাকে তবে এমন পরিস্থিতিতে কি হতে পারে আপনা এবং সেই প্রিয় মানুষটার।
0 মন্তব্যসমূহ