মানুষের তৈরি জঙ্গল শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এমন অবাক করা জঙ্গল তৈরি করে দেখিয়েছেন তেলেঙ্গানা রাজ্যের সত্য নারায়ণ।
সত্য নারায়ণ তার ৭৫ একর জমিতে জঙ্গল তৈরি করেছেন শুধু মাত্র পশু পাখিকে ভালোবেসে। সত্য নারায়ণের জঙ্গল তৈরির পিছনে লুকিয়ে আছে এক বুক ভালোবাসা। তিনি ২২৫ বিঘা জমি শুধু পশু পাখি দের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন কারণ তিনি পশুপাখি দের অনেক ভালোবাসতেন।
একদিন সত্য নারায়ণ তার আবাদি জমি দেখতে আসেন সেদিন তিনি লক্ষ্য করেন তার আবাদি জমিতে বেশ কিছু পাখি এসে ফসল খাচ্ছে পাখিদের ফসল খাওয়ার দৃশ্য দেখে সত্য নারায়ণ পাখিদের প্রেমে পড়ে যায়।
পরেরদিন পাখি দেখার জন্য আবার ফসল দেখতে আসেন সত্য নারায়ণ। সেদিনও অনেক পাখি এসে জমিতে লাগানো গম ফসল খাচ্ছিলো এটা দেখে সত্য নারায়ণ সত্যি সত্যি অনেক খুশি হয়। সত্য নারায়ণ সেই বছরে প্রায় ৭ একর জমি পাখিদের জন্য বিলিয়ে দেয় যা প্রায় ২১বিঘা আবাদি জমি ছিলো। তার ঠিক কিছুদিন পর সত্য নারায়ণ লক্ষ্য করে দেখে আসে-পাসে যেই জমি গুলোতে উচু লম্বা গাছপালা ছিলো তা মানুষজন এক এক কেটে ফেলছে। এটা দেখে সত্য নারায়ণ অনেকটা হতভম্ব হয়ে পড়ে।
সত্য নারায়ণ জানে পাখি গুলো অনেক দূর দূরান্ত থেকে এখানে উড়ে আসতো শুধুমাত্র গরমের ফসল এবং চারপাশের লম্বা গাছপালা আছে বলে। কিন্তু যদি সেই লম্বা গাছপালা গুলোই কেটে ফেলা হয় তবে পাখিরা এখানে আর আসবে'না পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতি হবে যদি গাছপালা না থাকে। তাই সত্য নারায়ণ চিন্তা করে আপাতত নিজের ২০বিঘা জমিতে তিনি গাছ লাগাবেন।
সত্য নারায়ণ প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয় করে ২০বিঘা আবাদি জমিতে গাছ লাগাতে শুরু করেন, পাখিদের আনাগোনা বেশি হওয়ার কারনে সত্য নারায়ণ আরো অনেক বেশি খুশি হয় এবং তিনি ৭০একর জমি জুড়েই গাছ লাগিয়ে ভরিয়ে তলেন। ২২০বিঘা জমি গাছে পরিপূর্ণ করতে সময় লেগেছিলো প্রায় ১৪ বছর। এখন সত্য নারায়ণের এই ৭০ একর বা ২২০বিঘা জমি সুন্দর এক বিশাল জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়েছে। পাশাপাশি সত্য নারায়ণ এর স্বপ্ন পুরুন হয়েছে। এখন সত্য নারায়ণ এর জঙ্গলে কয়েক হাজার পশুপাখি বসবাস করে।
সত্য নারায়ণ তার ৭০ একর জঙ্গল থেকে কোনো ফসল পরিবারের জন্য নেননা। খাবারের জন্য কোনো ফসল ও তোলেন'না। এবং কাউকে ফসল তুলতেও দেননা। সত্য নারায়ণ জঙ্গলের সকল ফল ফুল শুধুমাত্র পশুপাখিদের জন্য রেখেদেন। পাশাপাশি জঙ্গলের কোনো গাছপালা তিনি কাটেন'না এবং কাউকে গাছপালা কাটতেউ দেন'না। সত্য নারায়ণ তার জঙ্গলের পশুপাখি এবং গাছপালা দেখার জন্য পাহাড়াদার রেখেছেন যাতে পশুপাখি কেউ ধরতে বা শিকার করতে না পারে।
সত্য নারায়ণ ছিলো একজন কৃষি অফিসার এখন তিনি চাকরি ছেড়ে পশুপাখিকেই বেশি সময় দেন।
তার এই বিশাল জঙ্গল দেখার জন্য অনেক মানুষ ভিড় জমায়। কিন্তু তিনি জঙ্গল দেখার জন্য কোনো টাকা পয়সা নেন'না। সকল মানুষকে ফ্রি জঙ্গল দেখার সুযোগ দেন। কিন্তু তার একটা সর্ত হলো জঙ্গল থেকে কোনো ফল তোলা যাবেনা। এবং কোনো পশুপাখিকে ভয় দেখানো যাবে'না। পাশাপাশি কোনো পশুপাখিকে শিকার করা যাবে না।
সত্য নারায়ণ পশুপাখি কে ভালোবেসে এমন একটি জঙ্গল তৈরি করেছেন এটা দেখে তেলেঙ্গানা রাজ্যের সকল মানুষ অনেক খুশি। সত্য নারায়ণ নিজেকে জঙ্গলের কর্মচারী মনে করেন আর পশুপাখিদের জঙ্গলের মালিক মনে করেন।
এখান থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরি। আমরা সাধারণ ভাবে একটা কুকুর দেখলেই দূরদূর করে তাড়িয়ে দেই। ৫ টাকার একটা রুটি কুকুর কে দিতে পারিনা। ফসলের জমিতে গরু ছাগল লাগলে লাঠি দিয়ে পিটাই। পশু পাখি যদি মানুষের মতো বুঝতে পারতো বা কথা বলতে জানতো তবে হয়তো তারা ফসলের জমিতে ফসল খেতো না।
পশুর প্রতি একটু দয়াবান হোন, তাদের যত্ন নিন। আমরা এমনি এক জাতি যারা কি'না মাত্র ২ হাত জায়গার জন্য নিজের ভাইয়ের সাথে সম্পর্কছিন্য র*ক্তপাত করি। এটা করা মোটেও ঠিক না।
ভেবে দেখুন, একজন সত্য নারায়ণের আবাদি ফসলে পাখি এসেছিলো বলে তিনি পাখিদের জন্য ৭০ একরের এক জঙ্গল তৈরি করে দিয়েছেন। বর্তমান যুগে এমন বিশাল মনের মানুষ খুব কম দেখা মিলে।
যদি সত্য নারায়ণ এর মতো এতো বিশাল একটি মন আমাদের থাকে তবে পৃথিবীতে সকল মানুষ অনেক সুখী থাকতো। মারামারি, হাঙ্গ, দাঙ্গা এসব কিছু সমাজ থেকে বিতাড়িত হত। অর্থের প্রতি লালসা আমাদের চোখ বন্ধ করে রেখেছে।
যাইহোক জঙ্গলটি যদি দেখার ইচ্ছা হয় তবে ভারতের হায়দ্রাবাদ শহরের তেলেঙ্গানা রাজ্যের সুরিয়াপে গ্রামে অবস্থিত।
সত্য নারায়ণ তার ৭০ একর জঙ্গল থেকে কোনো ফসল পরিবারের জন্য নেননা। খাবারের জন্য কোনো ফসল ও তোলেন'না। এবং কাউকে ফসল তুলতেও দেননা। সত্য নারায়ণ জঙ্গলের সকল ফল ফুল শুধুমাত্র পশুপাখিদের জন্য রেখেদেন। পাশাপাশি জঙ্গলের কোনো গাছপালা তিনি কাটেন'না এবং কাউকে গাছপালা কাটতেউ দেন'না। সত্য নারায়ণ তার জঙ্গলের পশুপাখি এবং গাছপালা দেখার জন্য পাহাড়াদার রেখেছেন যাতে পশুপাখি কেউ ধরতে বা শিকার করতে না পারে।
সত্য নারায়ণ ছিলো একজন কৃষি অফিসার এখন তিনি চাকরি ছেড়ে পশুপাখিকেই বেশি সময় দেন।
তার এই বিশাল জঙ্গল দেখার জন্য অনেক মানুষ ভিড় জমায়। কিন্তু তিনি জঙ্গল দেখার জন্য কোনো টাকা পয়সা নেন'না। সকল মানুষকে ফ্রি জঙ্গল দেখার সুযোগ দেন। কিন্তু তার একটা সর্ত হলো জঙ্গল থেকে কোনো ফল তোলা যাবেনা। এবং কোনো পশুপাখিকে ভয় দেখানো যাবে'না। পাশাপাশি কোনো পশুপাখিকে শিকার করা যাবে না।
এখান থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরি। আমরা সাধারণ ভাবে একটা কুকুর দেখলেই দূরদূর করে তাড়িয়ে দেই। ৫ টাকার একটা রুটি কুকুর কে দিতে পারিনা। ফসলের জমিতে গরু ছাগল লাগলে লাঠি দিয়ে পিটাই। পশু পাখি যদি মানুষের মতো বুঝতে পারতো বা কথা বলতে জানতো তবে হয়তো তারা ফসলের জমিতে ফসল খেতো না।
পশুর প্রতি একটু দয়াবান হোন, তাদের যত্ন নিন। আমরা এমনি এক জাতি যারা কি'না মাত্র ২ হাত জায়গার জন্য নিজের ভাইয়ের সাথে সম্পর্কছিন্য র*ক্তপাত করি। এটা করা মোটেও ঠিক না।
ভেবে দেখুন, একজন সত্য নারায়ণের আবাদি ফসলে পাখি এসেছিলো বলে তিনি পাখিদের জন্য ৭০ একরের এক জঙ্গল তৈরি করে দিয়েছেন। বর্তমান যুগে এমন বিশাল মনের মানুষ খুব কম দেখা মিলে।
যদি সত্য নারায়ণ এর মতো এতো বিশাল একটি মন আমাদের থাকে তবে পৃথিবীতে সকল মানুষ অনেক সুখী থাকতো। মারামারি, হাঙ্গ, দাঙ্গা এসব কিছু সমাজ থেকে বিতাড়িত হত। অর্থের প্রতি লালসা আমাদের চোখ বন্ধ করে রেখেছে।
যাইহোক জঙ্গলটি যদি দেখার ইচ্ছা হয় তবে ভারতের হায়দ্রাবাদ শহরের তেলেঙ্গানা রাজ্যের সুরিয়াপে গ্রামে অবস্থিত।
0 মন্তব্যসমূহ